প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জলাভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ধরন্তি হাওর। পশ্চিমে মেঘনা, পূর্বে তিতাস। মাঝে সুবিশাল হাওর। সূর্যের আলোয় চিকচিক করে হাওরের জলরাশি। হাওরের পেট কেটে চলে গেছে সরাইল-নাসিরনগর সড়ক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে সরাইল উপজেলার ধরন্তির এই হাওর। হাওরে সমুদ্রের বেলা ভূমি না থাকলেও সরাইল-নাসিরনগর সড়কের দুই প্রান্তে নেমে পর্যটকরা সেই বেলা ভূমির স্বাদ গ্রহণ করছে।ধরন্তি গ্রামে এই সড়কটিতে দাঁড়ালে দিন শেষে দেখা যাবে সূর্য লুকাচ্ছে পানির নিচে।
বৈশাখ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত হাওর থাকে পানিতে টইটম্বুর। যান্ত্রিক জীবনের সকল ক্লান্তি আর অবসাদকে ধুয়ে ফেলতে পারে আকাশি হাওরের ঢেউ। প্রতিদিন শত শত ভ্রমণ পিপাসুদের তৃষা মেটাচ্ছে ধরন্তির এই হাওর। ঈদ আর নানা উৎসব পার্বণে এখানে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
বিশেষ দিনগুলো ছাড়াও হাওরের রূপবৈচিত্র্য দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার সৌন্দর্যপিপাসু দর্শনার্থীর আগমনে মিলন মেলায় পরিণত হয়। হাওরের নীলাভ রুপালি জলরাশি শুধু নয়, হাওরের মাঝ দিয়ে চলা পাড় বাঁধানো পাকা রাস্তার পাশে নৌকায় জেলেদের মাছ ধরাও দেখতে পারেন, সেই সাথে জেলেদের কাছ থেকে আপনিও কিনে নিতে পারেন হাওরের টেংরা, পুঁটি সহ আরও বিভিন্ন দেশিয় মাছ। প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে এই হাওরে দিগন্ত জোড়া থৈ থৈ পানি আর আকাশে মেঘের লুকোচুরি খেলায় বর্ষার বিকেলটা আপনাকে মোহময় করে তুলবে। আপনি চাইলে ইঞ্জিন চালিত এবং ডিঙ্গি নৌকায় ঘুরতেও পারেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস